Share This Story !

স্টারবার্তা প্রতিনিধি: লিবিয়ায় বাংলাদেশী প্রবাসী হত্যাকান্ডের ও মানবপাচারে জড়িতদের সুষ্ঠ বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ সহ ৩ দাবীতে প্রবাসী অধিকার পরিষদ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি। স্টারবার্তা পাঠকদের জন্য প্রবাসী অধিকার পরিষদ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি তুলে ধরা হলো:
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশী অসহায় বেকার যুবকদের প্রতারণা করে অবৈধভাবে বিদেশে নেওয়া আজ নতুন নয়। প্রতারণার বিষয়ে বেশ কিছু অভিযোগ প্রবাসী অধিকার পরিষদের নিকট এসেছে। অভিযোগ এসেছে এয়ারপোর্ট চুক্তির মত কিছু পয়েন্ট, যা এই অবৈধ মানবপাচার কাজে ইমিগ্রেশন সিস্টেমের জালিয়াতিতে অংশ নেওয়ার ইঙ্গিত বহন করে।
কয়েকমাস আগে এয়ারপোর্ট চুক্তিতে বেশ কিছু বাংলাদেশী বেকার যুবককে লিবিয়ায় নেওয়া হয়। মহামারি করোনায় লকডাউন কিছুটা শিথিল হলে ৭০ জন লিবিয়ান প্রবাসী যাদের বৈধ ভিসা ছাড়ায় নেওয়া হয়েছে তাদেরকে লিবিয়ার বেনগাজী শহরে একত্রিত করা হয় ত্রিপলি শহরে যাওয়ার নিমিত্তে। যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার হলে বাংলাদেশী দুজন মানবপাচারকারী তাদের ক্রয় করে জনপ্রতি ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে। এর পর তাদের অপহরণ করে একটি বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করে এবং তাদের বাংলাদেশে পরিবার হতে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণ দিয়েও মুক্তি না মিললে বিদ্রোহ করে মানবপাচারকারী শামীম রেজাকে হত্যা করলে আফ্রিকান গার্ডরা ভাড়াটে মিলিশিয়ান পুলিশ দিয়ে নির্মমভাবে গুলি করে ২৬ জন বাংলাদেশীকে হত্যা করে। আর এভাবেই দেশ ও পরিবারের জন্য দেশ ছাড়া কিছু রেমিটেন্স যোদ্ধাকে অকালে জীবন দিতে হয়।
প্রবাসী অধিকার পরিষদ এখানে স্পষ্টভাবে ২টি বিষয় গভীরভাবে অনুধাবনের চেষ্টা করেছে।
প্রথমত, এয়ারপোর্ট চুক্তির মাধ্যমে অবৈধ ভাবে বিদেশ গমন।
দ্বিতীয়ত, দালাল চক্র, মানবপাচারকারী বা মানব অপহরণ কারীদের দ্বারা বাংলাদেশী প্রবাসীদের অপহরণ ও জিম্মি করে পরিবারের নিকট অর্থ আদায়।
প্রবাসী অধিকার পরিষদ মনে করছে, এই দুটো অনৈতিক এবং জঘন্যতম কাজে দালাল, মানব পাচারকারী, অপহারণকারী ও সরকারের ইমিগ্রেশন সেক্টরের কর্তা ব্যাক্তিরা জড়িত। তারা সমন্বিতভাবে প্রবাসীদের জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছে।
আমরা উপরোক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারে কাছে ৩টি দাবী জানাচ্ছে প্রবাসী অধিকার পরিষদ:
১/ অবৈধভাবে দেশের বেকাররা বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে সকল ঘুষখোর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা, দালাল ও মানব পাচারকারী জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২/ পাশাপাশি লিবিয়ায় আহত ও নিহত হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত সকল অভিবাসী প্রবাসীর পরিবারকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মাথাপিছু ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৩/ এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচার করতে হবে এবং দেশে-বিদেশে এই অপহরণ চক্রের সাথে জড়িত সকলকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
উপরোক্ত দাবী মানা না হলে প্রবাসী অধিকার পরিষদ এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবে।
সমন্বয়ক টিম
প্রবাসী অধিকার পরিষদ